গোলাপগঞ্জে ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক শাহিন হত্যাকান্ডের উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি না হলেও নিহতের ছোট ভাই ইফতেখারুল হক সবুজ বাদী হয়ে মঙ্গলবার গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা (নং ২৮-২৩.০৩.২০২১খ্রিঃ) দায়ের করেছেন। মামলা অজ্ঞাত ৪ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক দুইজনকে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরন করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার হাজীপুর লরিফর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আলী আহমদ (২৪) ও একই গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে সাহেদ আহমদ (২৫)। এঘটনায় সিএনজি অটোরিকশা চালক মহি উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে থানা পুলিশ জানায়।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরীর সাথে দৈনিক শ্যামল সিলেট এর সাথে কথা হলে তিনি জানান হত্যার মোটিভ বের করার জন্য মাঠে একাধিক টিম কাজ করছে। তিনি বলেন খুব শীঘ্রই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবেন।
উল্লেখ্য রবিবার (২১মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে ফেরার পথে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হাজিপুর লরিফর গ্রামে মাঝামাঝি স্থানে সন্ত্রাসীরা রাস্তার মধ্যে কলাগাছ ফেলে গাড়ির গতিরোধ করে ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক শাহিনের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপর তাকে উদ্ধার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
Posted ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad